Best Child Neurologist

Epilepsy

সঠিক ব্যবস্থাপনায় স্বাভাবিক জীবন

২ এপ্রিল পালিত হয়েছে ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ রোগে শিশুর স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এটি নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে এ রোগের উপসর্গ অনেকাংশে কমানো যায়। অটিজমের লক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু

অটিস্টিক শিশুরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় বিশেষ চাহিদাকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা  করা অপরিহার্য

অটিজম কী?

শিশুদের একটি স্নায়ুবিকাশ জনিত সমস্যা অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিস-অর্ডার। এর ফলে শিশুর সামাজিক যোগাযোগ ও কার্যকলাপ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। অটিজমের ৮০-৯০ শতাংশ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার আগেই।

শিশুর সামাজিক যোগাযোগ ও পরিবেশের দিকে অনাগ্রহ থাকে, জড় জগৎ ও বস্তুর প্রতি থাকে অস্বাভাবিক সংবেদনশীলতা। পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেখা যায় পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ, যেমন—তারা পারিপর্শ্বিকতায় পরিবর্তনকে মেনে নিতে চায় না। একক কোনো বিষয়ের প্রতি তৈরি হয় মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ। এর ফলে শিশুর সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে অসুবিধা হয়।

আশপাশের পরিবেশ এবং ব্যক্তির সঙ্গে মৌখিক ও ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে না। দেখা দেয় আচার-আচরণের সমস্যা।

রোগের প্রকোপের ওপর ভিত্তি করে অটিজমকে যেভাবে তিনটি ভাগ করা যায়—

►  অটিস্টিক ডিস-অর্ডার

 এসপারজার্স ডিস-অর্ডার

►  পারভাসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিজ-অর্ডার নট আদারওয়াইজ স্পেসিফায়েড।

অটিজমের ইতিহাস

লিওক্যানার সর্বপ্রথম ১৯৪৩ সালে অটিজমের লক্ষণের বর্ণনা দেন।

এই বিশেষ শিশুদের মধ্যে অন্য শিশুদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অসমর্থ্যতা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ক্যানার আরো লক্ষ করেন যে, এদের মধ্যে রয়েছে পরিবেশের প্রতি অস্বাভাবিক ধরনের সাড়া প্রদান করার প্রবণতা, একই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি, কোনো বস্তুর প্রতি অস্বাভাবিক ভালো লাগা এবং রুটিন মেনে চলার প্রবণতা। এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে চাইলে এই শিশুরা অস্বাভাবিক আচরণ করে। তিনি আরো অভিমত প্রকাশ করেন যে এই শিশুরা গুছিয়ে কাজ করায় পারদর্শী নয় এবং কখনো কখনো কিছু কাজের ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকে।

এরপর ১৯৪৪ সালে হানস অ্যাসপার্জার এটিকে ‘অটিস্টিক সাইকোপ্যাথি’ বলে সম্মোধন করেন।তিনি বলেন, এই শিশুদের আচরণের অস্বাভাবিকতা এবং সামাজিক মেলামেশায় অক্ষমতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

কাদের হয়?

ধর্ম-বর্ণ-আর্থ-সামাজিক অবস্থান-নির্বিশেষে যেকোনো শিশুর মধ্যে অটিজমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় চার গুণ বেশি।

লক্ষণ

১৮ থেকে ৩৮ মাস বয়সের মধ্যেই অটিজমের লক্ষণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রকাশ পায়। এর মধ্যে আছে—

►  দুই বছর বয়সের মধ্যে অর্থপূর্ণ কথা বলতে না পারা।

►  শিশু চোখে চোখ রাখে না।

►  নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না।

►  অন্যের সঙ্গে মিশতে, আদর নিতে বা দিতে সমস্যা হয়।

►  পরিবেশ অনুযায়ী মুখ ভঙ্গি পরিবর্তন না করা।

►  অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা অন্য শিশুদের সঙ্গে মুখে মুখে কথা বলা এবং ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান করতে পারে না।

এর পাশাপাশি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের মধ্যে কখনো কখনো কিছু আনুষঙ্গিক অসুবিধা থাকতে পারে। যেমন—

►  খিঁচুনি

►  অতিমাত্রায় চঞ্চলতা

►  ঘুমের সমস্যা

►  খাদ্য হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য

►  বুদ্ধি বা জ্ঞানের স্বল্পতা

►  দাঁত কিরমিরি দেওয়া ইত্যাদি।

অটিজম নিরূপণের জন্য চিহ্ন

শিশুর আচরণে যদি নিচের তালিকার একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই অটিজম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

►  ছয় মাস বয়সের মধ্যে শিশু যদি পরিপূর্ণ হাসি না হাসে।

►  ৯ মাস বয়সের মধ্যে হাসির উত্তরে হাসি বা ভাব প্রকাশ না করে।

►  ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো বোল না বলা, পছন্দের বস্তুর দিকে ইশারা না করে।

►  ১৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি শব্দ বলতে না পারে।

►  ২৪ মাস বয়সের মধ্যে দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারে।

►  ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারার পর আবার ভুলে যায়।

►  বয়স উপযোগী সামাজিক আচরণ করতে না পারে।

সম্ভাব্য কারণ

অটিজম কেন হয় সে বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা সুস্পষ্টভাবে অবগত নন। সারা বিশ্বেই এর মূল কারণ জানার জন্য গবেষণা অব্যাহত রয়েছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিছু বিষয়ের সমন্বয়ে শিশুদের অটিজম হতে পারে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন। এর মধ্যে জিনগত কারণ সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও কিছু পরিবেশগত কারণও আছে। ধারণা করা হয়, অটিজমের জন্য দায়ী ১০০টিরও বেশি জেনেটিক ত্রুটি। 

পরিবেশগত কারণ বিদ্যমান থাকলে রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। যেমন—প্রতিনিয়ত রং ও সংরক্ষণের কেমিক্যালযুক্ত ফাস্ট ফুড খেলে, কিছু ওষুধের প্রভাবে বা ভারী ধাতুর সংস্পর্শেও অটিজমের প্রকোপ বাড়তে পারে। কারণ এসব শরীরে প্রবেশ করে কিছু জিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কথা বলতে শেখার সময় একাধিক ভাষার সম্মুখীন হলে, শিশুর বিকাশের উপযুক্ত সময়ে স্মার্টফোন বা ট্যাব নিয়ে খেলা করলে বা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য উপযুক্ত উদ্দীপনা না পেলেও অটিজমের লক্ষণ বেড়ে যেতে পারে।

পরিসংখ্যান

অটিজম নিয়ে বাংলাদেশে তেমন পরিসংখ্যান নেই। তবে এ নিয়ে কর্মরত চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, দেশে অটিজম রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চালানো ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকায় শতকরা তিনজন শিশু অটিস্টিক। সেই তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এই সংখ্যাাটি কম, ৭০০ জনে একজন। গবেষণাটি পরিচালনা করেন প্রখ্যাত শিশু নিউরোলজিস্ট ও বর্তমানে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন সদস্য অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান। এক থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

সারা দেশে ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিস-অর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) পরিচালনা করে এক গবেষণা। এতে জানা যায়, শহরের ছেলে শিশুরা অটিজমে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং ৩০ মাসের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজমের হার মাত্র এক হাজার শিশুর মধ্যে ১৭ জন।

অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে আরো কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে তাদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় বেশি। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে তারা। কিছু জেনেটিক সিনড্রোম, যেমন—ডাউন সিনড্রোমের সঙ্গেও অটিজমের প্রকোপ বাড়ে। এ ছাড়াও স্মার্টফোন ব্যবহারের সঙ্গে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে অটিজমের তীব্রতা—এমনও বলছে কোনো কোনো গবেষণার ফলাফল।

অটিজম নিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অটিজম নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে যেমন বেড়েছে অটিজম নিয়ে কাজে আগ্রহীর সংখ্যা, তেমনি হয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ও অন্যদের প্রশিক্ষণের ফলে এই শিশুরা আর প্রয়োজনীয় সেবা ও রোগের সঠিক নির্ণয় সেবার বাইরে থাকছে না। এ বিষয়ে কাজের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে নিউরোডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট ও অটিজম এবং এনডিডি সমস্যা বিষয়ক সেল। এর ফলে ইপনা (বিএমইউ) এবং শিশু বিকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও কাজ করছে বেশ কিছু সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। 

ব্যবস্থাপনা

অটিজমকে নির্মূল করার ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে এর মাত্রা তথা মূল লক্ষণ কমিয়ে আনা ও এ শিশুদের জীবনযাপনের মান উন্নত করতে পারে এমন বেশ কিছু ওষুধ আছে। এই রোগের সঙ্গে অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে, যেমন এডিএইচডি, লার্নিং ডিস-অ্যাবিলিটি, খিঁচুনির সমস্যা, হজমের সমস্যা, যা অটিজমের মাত্রাকে আরো অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসব রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে অটিজমেরও প্রকোপ অনেকাংশে কমানো যেতে পারে। তাই এর চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত দলের প্রয়োজন। অটিজম ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে—

►  ব্যাবহারিক শিক্ষা।

►  স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি।

►  পড়ালেখার জন্য বিশেষ স্কুল।

অটিজম ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে—

►  ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিস-অর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, ঢাকা।

►  ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ‘শিশু বিকাশ কেন্দ্র’, ঢাকা।

►  জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, শেরেবাংলানগর, ঢাকা।

►  জাতীয় নিউরো সায়েন্স ইনস্টিটিউট।

►  প্রয়াস, বিশেষায়িত স্কুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-এর শিশু বিকাশ কেন্দ্র। 

►  সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিশেষায়িত স্কুল।

►  জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।

অটিস্টিক শিশুরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় বিশেষ চাহিদাকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা অপরিহার্য।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান

শিশু নিউরোলজি বিভাগ

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ, 5 এপ্রিল 2025

”শিশুদের অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা”

”শিশুদের অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা” এই বইটি পড়লে এই সমস্যাগুলোর অনেক কিছু জানতে পারবেন। বর্তমানে নিরবে এই রোগটি বেড়ে যাচ্ছে। যা আমাদের সচেতনতাই পারে অনেকটা রোধ করতে।

বইটিতে যা যা রয়েছে–

** শিশুদের অটিজম সমস্যা

** শিশুদের এডিএইচডি বা অতি চঞ্চলতা সমস্যা

** শিশুদের দেরিতে কথা বলা সমস্যা

** শিশুদের খিঁচুনি রোগ ও মৃগীরোগ

** শিশুদের সেরিব্রাল পালসি সমস্যা

** শিশুদের বুদ্ধি প্রতিববন্ধিতা

** শিশুদের ডাউন সিনড্রোম সমস্যা

** ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মা ও নবজাতক

** ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও শিশুর বিকাশের সমস্যা

** বিশেষ শিশুর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রেসপাইট কেয়ার এর ভূমিকা

** শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং কিছু কথা

উপরের বিষয়গুলো আমাদের বাচ্চাদের সাথে হয়তো হচ্ছে কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারছি না।

autism-book

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ, কী করবেন

জেনে নিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অটিজম অ্যান্ড এনডিডি সেলের পরিচালক এবং বিএসএমএমইউর শিশু নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডুর কাছ থেকে।

শিশুর দেরিতে কথা বলা বাবা-মায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ কী এবং এ পরিস্থিতিতে কী করবেন জেনে নিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অটিজম অ্যান্ড এনডিডি সেলের পরিচালক এবং বিএসএমএমইউর শিশু নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডুর কাছ থেকে।  

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ

ডা. গোপেন কুন্ডু বলেন, শিশুদের দেরিতে কথা বলার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু রোগের কারণে অনেক শিশু দেরিতে কথা বলে। যেমন-

১. ডাউন সিনড্রোম: ডাউন সিনড্রোমে শিশুর শরীর তুলতুলে নরম ও মুখমণ্ডলের ধরন আলাদা থাকে। এই শিশুদের বুদ্ধি হয় না, হাঁটা, বসা, চলাফেরা করতে পারে না এবং তারা কথাও দেরিতে বলে।

২. সেরিব্রাল পালসি: জন্মের সময় কান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যায়, মস্তিষ্ক কাজ করে না। যার ফলে হাঁটা ও বসার মতো কথা বলাও দেরিতে হয়, শিশুর বুদ্ধি কমে যায়।

৩. অটিজম: এক্ষেত্রে হাঁটতে, বসতে বা চলতে অসুবিধা নেই, কিন্তু কথা বলতে দেরি হয়। আচরণগত অসুবিধা দেখা যায়। শিশু এক জায়গায় বসে থাকে না, নিজের মতো চলে। অন্য শিশুদের সঙ্গে মেশে না, কথা বলে না, কিছু আচরণ করে যা অন্য বাচ্চারা করে না।

৪. কনজেনিটাল বা জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম: জন্মের পর যেসব শিশুর জিহ্বা বড় থাকে, জিহ্বা বের করে থাকে, পেট ফোলা থাকে, হাঁটতে ও বসতে দেরি করে সেসব বাচ্চার থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যা থাকে। হরমোনজনিত সমস্যার কারণে বাচ্চা দেরিতে কথা বলে।

৫. জন্মগতভাবে শিশু যদি কানে কম শোনে, কাছ থেকে ডাকলেও সাড়া না দেয়, এমন শিশুদের কথা বলতে দেরি হয়।

৬. শিশুর জিহ্বা যদি তালুর সঙ্গে লাগানো থাকে।

৭. শিশুর ঠোঁট কাটা, তালু কাটা থাকলে কথা বলা দেরি হতে পারে।

ডা. গোপেন কুন্ডু বলেন, এগুলো ছাড়াও পরিবেশগত কিছু কারণে শিশুর কথা বলতে দেরি হয়। যেমন-

১. দেরিতে কথা বলা বা কথা কম বলার পেছনে মোবাইল ফোন দায়ী। এক বছর বয়সে অনেক শিশু কথা বলা শিখতে শুরু করার পর দেখা গেছে দুই বছর বয়সে এসে তা কমে যাচ্ছে। এর কারণ শিশুর ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব।

২. গ্রামের তুলনায় শহড়ের শিশুরা দেরিতে কথা বলে। গ্রামের শিশুরা বাবা-মাকে বেশি পাশে পায়, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেশে, মোবাইল ফোন বেশি হাতে পায় না।

৩. শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়ের কম কথা বলাও শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ। ছোট পরিবারের শিশুরাও দেরিতে কথা বলে।

৪.  বাবা-মা কর্মজীবী হলে সন্তানদের কম কথা বা দেরিতে কথা বলতে দেখা যায়।

৫. প্রবাসী বাঙালি যারা তাদের শিশুরাও অনেকে দেরিতে কথা বলে। জন্মের পর মাল্টিপল ল্যাঙ্গুয়েজের কারণে অনেক সময় শিশু কম কথা বলে, দেরিতে কথা বলে।

৬. মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ইউটিউবে মাল্টিপল ল্যাঙ্গুয়েজ শিশুদের দেরিতে কথা বলার কারণ।

শিশু দেরিতে কথা বলছে কি না কীভাবে বুঝবেন?

৬ মাসের একটি শিশু বাবলিং সাউন্ড করে।

১ বছরের শিশু বাবাকে বাবা ও মাকে মা বলতে শিখে।

২ বছরের শিশু দুইটা শব্দ একসঙ্গে করে ছোট বাক্য ‘আমি খাব’, ‘আমি যাব’ এসব বলতে পারে।

৩ বছরের শিশু বড় বাক্য তৈরি করে কথা বলতে পারে, ছড়া বলতে পারে।

ডা. গোপেন কুন্ডু বলেন, ৩ বছর বয়সের মধ্যে সব শিশু সব কথা বলতে পারবে এটা স্বাভাবিক। যদি কোনো শিশু তিন বছরের মধ্যে কথা না বলে তাহলে বুঝতে হবে তার কোথাও কোনো অসুবিধে আছে।

শিশুর দেরিতে কথা বলা সমাধানে কী করবেন

ডা. গোপেন কুন্ডু বলেন, শিশুর প্রথম তিন বছর বয়সেই বাবা-মা অভিভাবকদের খেয়াল করতে হবে শিশুর কথা বলায় দেরি হচ্ছে কি না। তিন বছর বয়সেই শিশু সব শিখে যায়। শিশু এক বা দুই বছরে যেসব শব্দ বলার কথা ছিল তা যদি না বলে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব শিশু নিউরোলজিস্ট বা শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।

তিন বছরের মধ্যে বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে শিশুর সমস্যা শনাক্ত করে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় কথা বলার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তিন বছর পর শিশুর কথা আসতে চায় না। কথা বলার জন্য শিশুর প্রথম তিন বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া সরকারিভাবে জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে ৩৪টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনস্টিটিউট অব নিউরোডিজিজ অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) নামে একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানেও দেরিতে কথা বলা শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রোগ নাকি পরিবেশগত কারণে শিশু কথা দেরিতে বলছে সেটি শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিচ থেরাপি দিতে হবে।

অন্য শিশুদের তুলনায় আপনার শিশু পিছিয়ে আছে কি না সেটি খেয়াল রাখতে হবে।

প্রথম ৩ বছর বয়সে শিশুর মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ বিকাশ হয়, পরবর্তী ৫ বছর বয়স পর্যন্ত তা চলতে থাকে। শিশুর বিকাশের সময় মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয় কোনোভাবেই। বাবা দেরিতে কথা বলেছে বলে সন্তান দেরিতে কথা বলছে, অগ্রজিহ্বা বা আলজিহ্বা বড় তাই কথা দেরিতে বলছে এরকম ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক সময়ে শিশুর চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন ডা. গোপেন কুন্ডু।

সূত্র: The Daily Star

ঘরবন্দি শিশুমনে আসবে প্রশান্তি

সারাদেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হচ্ছে আজ। করোনা মহামারীর কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় মানসিকভাবে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের বন্দিদশা থেকে যেন মুক্তি মিলছে। বন্দি থাকার কারণে যেসব শিশু মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, স্কুল খোলায় তাদের এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। এমনকি অনেক শিশু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে আশক্ত হয়ে পড়েছিল। স্কুল খোলায় সেই সমস্যারও সমাধান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শিক্ষকরা যেন অনেক পড়া অল্প সময়ে শেষ করতে চাপ না দেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনরোগ বিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব আমাদের সময়কে বলেন, স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যেন অতিউৎসাহী হয়ে না পড়ে। অনেক দিন পর স্কুল খুলছে, অনেক লেখাপড়া বাকি, তাই বেশি বেশি পড়ে সব দ্রুত শেষ করতে হবে। শিক্ষকরা যেন এমন আচরণ না করেন। কারণ এমনটি করলে শিশুদের মানসিক চাপ বাড়বে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় যে উপকার হওয়ার কথা, তার চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। বলা যায় হিতে বিপরীত হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারিভাবে স্কুলগুলোতে ইউনিসেফের সহায়তায় তৈরি করা একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে সব সময় মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের তিন ফুট শারীরিক দূরত্বে রাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কথা আছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে ৫ ফুটের চেয়ে ছোট আকারের বেঞ্চিতে একজন ও এর চেয়ে বড় আকারের বেঞ্চিতে দুজন শিক্ষার্থী বসানো যাবে। কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম দিকে পাবলিক পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরাই বেশি আসবে। বাকিদের স্কুলে আসার জন্য রোটেশন সিস্টেম অর্থাৎ আজ যারা আসবে তারা কাল আসবে না- এ নীতি অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিএসএমএমইউর শিশু নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত শিশুদের জন্য ইতিবাচক। কারণ এক বছরেরও বেশি সময় তারা ঘরবন্দি হয়ে আছে। এ সময়ে অনেক শিশু বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ওপর আশক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বাসায় বন্দি থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমনকি মনের কোণে লুকিয়ে থাকা অনেক কথা যা তারা শুধু বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে, সেগুলো কারও সঙ্গে আলোচনা করতে না পেরে মানসিক অশান্তিতে ছিল। স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় শিশুদের এ মানসিক সমস্যা ও অস্থিরতা দূর হবে। তবে অসুবিধাও রয়েছে। সেটি হলো- করোনাকালীন স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। বিশেষ করে স্কুলে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া বা সেনিটাইজারের ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে, শিক্ষকরা টিকা নিয়ে থাকলেও শিশুরা এখনো টিকা পায়নি। তাই তাদের স্বাস্থ্যবিধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে পিতা-মাতা যেন দুশ্চিন্তায় না পড়ে, সে জন্য তাদের কাউন্সেলিং করতে হবে।

গত বছর মার্চে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে বা সরাসরি ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ছুটি ১১ সেপ্টেম্ব^র পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমে আসায় কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

* মনের কোণে লুকিয়ে থাকা কথা কারও সঙ্গে আলোচনা করতে না পেরে মানসিক অশান্তিতে ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষার্থীদের এমন মানসিক সমস্যা ও অস্থিরতা দূর হবে -ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু অধ্যাপক, বিএসএমএমইউ

* অনেক দিন পর স্কুল খুলছে, অনেক পড়া বাকি। বেশি বেশি পড়ে সব দ্রুত শেষ করতে হবে… শিক্ষকরা যেন এমন আচরণ না করেন -ডা. সালাউদ্দিন কাউসার অধ্যাপক, বিএসএমএমইউ

সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

দেশে প্রায় ২৩ লাখ শিশু অটিজমে ভুগছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি। অটিজমে আক্রান্ত এসব শিশুদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু গবেষণায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে আমাদের আরও গবেষণা বাড়াতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যারা অটিজমে ভুগছে, তারা আগে স্কুলে যেতে পারত না, বাড়িতে মেহমান আসলে তাদের লুকিয়ে রাখা হতো। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে সব কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের।

ডাউন সিনড্রোমে ভোগে দেশের ২ লাখ শিশু

ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর সরকারিভাবে ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর ডাউন সিনড্রোম দিবসের প্রতিপাদ্য ‘যুক্ত মোড়া’।

অটিজম ও স্নায়বিকাশজনিত শিশুদের নিন বাড়তি যত্ন

অটিজম ও অন্যান্য স্নায়বিক বিকাশে সমস্যাবিষয়ক রোগব্যাধি যেমন অটিজম, সেরেব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধিমত্তা কম ইত্যাদি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ কম থাকে। তারা নিজেদের রোগ ব্যাধি বা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে না বিধায় করোনাভাইরাসহ যেকোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের থাকে কম। তাই নিতে হবে বিশেষ যত্ন।

বিশেষ শিশুদের জন্য করণীয়

অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু , চেয়ারম্যান, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও সংক্রমিত করে জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থেকে দূরে রাখতে অটিজম ও বিশেষ শিশুদের বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। অভিভাবকদের উচিত তাদের খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলা, বিশ্রাম, শিক্ষাদীক্ষা—সব কিছু একটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী চলতে অভ্যস্ত করানো।