Best Child Neurologist

International Research

দেশে প্রায় ২৩ লাখ শিশু অটিজমে ভুগছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি। অটিজমে আক্রান্ত এসব শিশুদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু গবেষণায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে আমাদের আরও গবেষণা বাড়াতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যারা অটিজমে ভুগছে, তারা আগে স্কুলে যেতে পারত না, বাড়িতে মেহমান আসলে তাদের লুকিয়ে রাখা হতো। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এক্ষেত্রে সব কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের।

ডাউন সিনড্রোমে ভোগে দেশের ২ লাখ শিশু

ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর সরকারিভাবে ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর ডাউন সিনড্রোম দিবসের প্রতিপাদ্য ‘যুক্ত মোড়া’।

অটিজম ও স্নায়বিকাশজনিত শিশুদের নিন বাড়তি যত্ন

অটিজম ও অন্যান্য স্নায়বিক বিকাশে সমস্যাবিষয়ক রোগব্যাধি যেমন অটিজম, সেরেব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধিমত্তা কম ইত্যাদি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ কম থাকে। তারা নিজেদের রোগ ব্যাধি বা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে না বিধায় করোনাভাইরাসহ যেকোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের থাকে কম। তাই নিতে হবে বিশেষ যত্ন।

বিশেষ শিশুদের জন্য করণীয়

অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু , চেয়ারম্যান, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও সংক্রমিত করে জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থেকে দূরে রাখতে অটিজম ও বিশেষ শিশুদের বেশ গুরুত্ব দিতে হবে। অভিভাবকদের উচিত তাদের খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলা, বিশ্রাম, শিক্ষাদীক্ষা—সব কিছু একটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী চলতে অভ্যস্ত করানো।